মনে করুন, একদিন হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করলেন। প্রথমেই ভয় পেয়ে গেলেন- এ কি হৃদরোগের লক্ষণ? নাকি এসিডিটি বা অন্য কোনো কারণ? বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না, হার্টের বুকে ব্যথা হলে তা কতটা গুরুতর বা এর প্রকৃত কারণ কী। অনেক সময় আমরা এটিকে অবহেলা করি, আবার কখনো অকারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।
তবে আপনি জেনে হয়তো অবাক হবেন যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, হৃদরোগ বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হৃদরোগের আগাম সংকেতগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা। তবে, সব বুকে ব্যথা হৃদরোগের কারণে হয় না। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, পেশীর টান, ফুসফুসের সংক্রমণ কিংবা স্ট্রেসজনিত কারণে হলেও বুকে ব্যথা হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে বুঝবেন, হার্টের বুকে ব্যথা হলে এটি হৃদরোগের লক্ষণ, নাকি অন্য কোনো সমস্যার? কখন সতর্ক হতে হবে? কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? আজকের এই লেখায় আমরা এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজব। তাই শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকুন।
হার্টের বুকে ব্যথা হলে সাধারণ মানুষ কেন বিভ্রান্ত হয়?
বুকে ব্যথা হলেই অনেক মানুষ ভয় পেয়ে যায় এবং এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বলে ধরে নেয়। কিন্তু বাস্তবে, বুকে ব্যথার কারণ অনেক হতে পারে, যেমন অ্যাসিডিটি, পেশির টান, স্ট্রেস বা ফুসফুসজনিত সমস্যা। সাধারণ মানুষ মূলত হার্টের সমস্যার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে বিভ্রান্ত হয়। তারা বুঝতে পারে না যে হার্টের ব্যথার প্রকৃতি কেমন হয় এবং কীভাবে এটি অন্যান্য ব্যথা থেকে আলাদা করা যায়। ফলে সামান্য ব্যথাতেও ভয় পেয়ে অনেকে হাসপাতালে ছুটে যায়, আবার কেউ কেউ এটিকে অবহেলা করেও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।
আরেকটি বড় কারণ হলো, হার্ট অ্যাটাক সংক্রান্ত প্রচলিত ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন যে, শুধু বুকের বাম পাশে ব্যথা হলেই সেটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, হার্টের ব্যথা অনেক সময় বুকের মাঝখানে বা ডান পাশেও অনুভূত হতে পারে এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব, ঘাম হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা লোকমুখে শোনা বিভিন্ন ভুল তথ্যও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা বা অন্যের কথা শুনে বিচার করে এবং অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে।
তৃতীয়ত, আধুনিক জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস বুকে ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যস্ততার কারণে মানুষ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় না, ফলে শরীরের ভেতরে চলা সমস্যা সম্পর্কে অবগত থাকে না। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে, তারা এটি হার্টের সমস্যা বলে ধরে নেয় এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আবার অনেকেই ভয় বা অবহেলার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করে, যা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে সঠিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ এবং সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
হার্টের সমস্যাজনিত ব্যথা বনাম অন্যান্য ব্যথা
বুকে ব্যথা হলে সাধারণ মানুষ প্রায়ই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ হার্টের বুকে ব্যথা হলে ও অন্যান্য ব্যথার মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন হতে পারে। তবে ব্যথার প্রকৃতি, স্থায়িত্ব, অবস্থান এবং সঙ্গে থাকা অন্যান্য উপসর্গ দেখে এটি চিহ্নিত করা সম্ভব। নিচে হার্টের ব্যথা ও অন্যান্য ব্যথার মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
হার্টের সমস্যাজনিত ব্যথার বৈশিষ্ট্য
ব্যথার প্রকৃতি
হার্টের ব্যথা সাধারণত চেপে ধরা, ভারী বা জ্বালাপোড়া অনুভূতির মতো হয়, যা বুকের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। অনেকে এটি বুকের উপর ভারী কিছু চাপার মতো অনুভব করে, যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর ও শ্বাসরুদ্ধকর হতে পারে। ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে অনুভূত হয়, তবে এটি কাঁধ, পিঠ, গলা বা বাঁ হাতেও বিস্তার লাভ করতে পারে। বিশেষ করে বাঁ হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া হার্ট অ্যাটাকের একটি ক্লাসিক লক্ষণ। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ব্যথাটি কেবল গলায় বা উপরের পেটে টের পাওয়া যায়, যা অ্যাসিডিটির ব্যথার সঙ্গে বিভ্রান্ত হতে পারে। যেহেতু এই ব্যথা এক জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে ছড়িয়ে পড়ে, তাই এটি সাধারণ পেশি বা হাড়ের ব্যথার চেয়ে আলাদা। যদি কোনো ব্যাক্তি এই ধরনের ব্যথা অনুভব করে, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
উপসর্গ
হার্টের ব্যথার সঙ্গে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ দেখা যায়, যা সাধারণ বুকে ব্যথার থেকে এটিকে আলাদা করে। এই ব্যথার সময় অনেকেই ঠান্ডা ঘামে ভিজে যায়, শরীর দুর্বল ও অবসন্ন অনুভব করে। পাশাপাশি, বমি ভাব বা বমি হতে পারে, যা অনেক সময় পেটের সমস্যা বলে ভুল বোঝা হয়। শ্বাসকষ্ট হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এটি সাধারণত তখনই ঘটে যখন হৃদপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে পারে না এবং শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। কিছু ক্ষেত্রে রোগীরা মাথা ঘোরা বা চেতনা হারানোর অনুভূতি পায়, যা রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। সাধারণ গ্যাস্ট্রিক বা পেশির ব্যথার সময় এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায় না, তাই যদি বুকে ব্যথার পাশাপাশি এই লক্ষণগুলোর যেকোনোটি অনুভূত হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
ব্যথার স্থায়িত্ব
হার্ট অ্যাটাক বা এনজাইনার ব্যথা সাধারণত কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী হয় এবং বিশ্রাম নিলেও সহজে কমে না। কিছুক্ষণের জন্য ব্যথা হ্রাস পেতে পারে, তবে এটি আবার বেড়ে যায় এবং আরও তীব্র হতে পারে। অনেক সময় ব্যথা একটানা ১০-১৫ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, যা হার্টের সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। অন্যদিকে, অ্যাসিডিটি বা পেশির ব্যথা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়। যদি ব্যথা কয়েক সেকেন্ডের জন্য হয় এবং পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়, তবে সেটি সাধারণত হার্টজনিত নয়। কিন্তু যদি ব্যথা বারবার ফিরে আসে এবং বিশ্রাম নিলেও উপশম না হয়, তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের সংকেত হতে পারে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
উদ্দীপক কারণ
হার্টের ব্যথা সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট কারণ দ্বারা উদ্দীপিত হয়, যেমন অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ বা ঠান্ডা আবহাওয়া। শারীরিক পরিশ্রমের সময় হৃদপিণ্ডকে বেশি রক্ত পাম্প করতে হয়, যা যদি বাধাগ্রস্ত হয়, তবে এনজাইনা বা হার্টের ব্যথা দেখা দিতে পারে। মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা শরীরের করটিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, ফলে ব্যথা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ঠান্ডা আবহাওয়াতেও হৃদযন্ত্রের ধমনী সংকুচিত হয়, যার ফলে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না এবং ব্যথা অনুভূত হয়। এ কারণেই অনেক হৃদরোগী শীতকালে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন। এসব উদ্দীপক কারণে যদি ব্যথা হয়, তবে তা হার্টের সমস্যা হতে পারে এবং অবিলম্বে সতর্ক হওয়া উচিত।
প্রতিক্রিয়া
হার্টের ব্যথা শনাক্ত করার অন্যতম উপায় হলো নিট্রোগ্লিসারিনের প্রতিক্রিয়া দেখা। নিট্রোগ্লিসারিন একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ, যা রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে এবং হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহ সহজতর করে। এনজাইনা বা হার্টজনিত ব্যথার ক্ষেত্রে এই ওষুধ গ্রহণ করলে ব্যথা দ্রুত হ্রাস পেতে পারে। এটি সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা ব্যবহার করেন। অন্যদিকে, যদি ব্যথা নিট্রোগ্লিসারিন খাওয়ার পরেও কমে না বা আরও বেড়ে যায়, তবে এটি গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে এবং দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। অন্যদিকে, অ্যাসিডিটি বা পেশির ব্যথার ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকর হয় না, তাই এটি হার্টের ব্যথা ও অন্যান্য ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর মাধ্যমে হার্টের ব্যথা ও অন্যান্য সাধারণ ব্যথার পার্থক্য বোঝা সম্ভব।
অন্যান্য ব্যথার বৈশিষ্ট্য
এবার চলুন, অন্যান্য আর যে যে কারণে বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
অ্যাসিডিটির কারণে ব্যথা
অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকজনিত ব্যথা বুক জ্বালাপোড়া এবং অস্বস্তির অন্যতম প্রধান কারণ। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্ন হলে এটি খাদ্যনালীতে উঠে এসে বুকের মাঝখানে বা উপরের অংশে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে, যা হার্টের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। সাধারণত খাবার খাওয়ার পর এই ব্যথা বেড়ে যায়, বিশেষ করে মসলাযুক্ত, ভাজা বা চর্বিযুক্ত খাবার খেলে সমস্যা আরও তীব্র হতে পারে। টক ঢেকুর আসা, গলায় টক বা তেতো স্বাদ অনুভব করা এবং বুকের নিচের অংশ থেকে গলায় পর্যন্ত জ্বালাপোড়া হওয়া অ্যাসিডিটির সাধারণ লক্ষণ।

এই ব্যথা সাধারণত লম্বা সময় ধরে স্থায়ী হতে পারে এবং শুয়ে থাকলে বা ঝুঁকে কাজ করলে বাড়তে পারে। তবে অ্যান্টাসিড বা ঠান্ডা দুধ পান করলে ব্যথা কমে যায়, যা এটিকে হার্টের ব্যথার চেয়ে আলাদা করে। যদি কেউ বারবার বুক জ্বালাপোড়া অনুভব করে, তবে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) থাকতে পারে, যা চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
পেশি বা হাড়ের ব্যথা
বুকের পেশি বা হাড়ের ব্যথা অনেক সময় হার্টের ব্যথার মতো মনে হতে পারে, তবে এর কিছু স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। পেশির ব্যথা সাধারণত আঘাত, ভারী কিছু তোলা, বা হঠাৎ কোনো ভুল ভঙ্গিতে নড়াচড়া করার কারণে হয়। দীর্ঘক্ষণ ভুলভাবে বসা বা একই অবস্থানে থেকে কাজ করলে পেশিগুলো ক্লান্ত হয়ে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় অনুভূত হয় এবং যদি আক্রান্ত স্থান চেপে ধরা হয়, তবে ব্যথা বেড়ে যায়। অন্যদিকে, হার্টের ব্যথা চাপ দিলে বাড়ে না এবং এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, পেশির ব্যথা সাধারণত নড়াচড়া বা শরীর মোচড়ালে বাড়তে পারে, যা হার্টের ব্যথার ক্ষেত্রে হয় না। সাধারণ ওষুধ, গরম সেঁক, বা বিশ্রাম নিলে পেশির ব্যথা কমে যায়। তবে যদি ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী হয় বা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্যানিক অ্যাটাকের ব্যথা
প্যানিক অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যা হার্টের ব্যথার মতো মনে হতে পারে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বা আকস্মিক ভয় পেলে শরীরে অতিরিক্ত অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয় এবং বুক ধড়ফড় করা, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা, ঝিমঝিম করা, হাত-পা কাঁপা ইত্যাদি লক্ষণ সৃষ্টি করে। অনেক সময় মনে হয় যেন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বা কেউ বুকের ওপর ভারি কিছু চেপে ধরেছে। এই কারণে অনেকেই মনে করেন তারা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন। তবে হার্টের ব্যথার তুলনায় প্যানিক অ্যাটাকের ব্যথা সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং গভীর শ্বাস নেওয়া বা মনোযোগ সরিয়ে নিলে কমে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ কমানোর কৌশল ব্যবহার করলে প্যানিক অ্যাটাক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ফুসফুসজনিত ব্যথা
ফুসফুসজনিত ব্যথা সাধারণত শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি হার্টের ব্যথার থেকে ভিন্নভাবে অনুভূত হয়। নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, প্লুরিসি (ফুসফুসের পর্দায় প্রদাহ), বা ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বুকে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত শ্বাস নিতে গেলে বা কাশির সময় বেড়ে যায়, যা হার্টের ব্যথার ক্ষেত্রে ঘটে না। অনেক সময় ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে জ্বর, কাশি, কফ বের হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ফুসফুসজনিত ব্যথা সাধারণত শরীরের এক নির্দিষ্ট অংশে সীমাবদ্ধ থাকে এবং শ্বাস ধরে রাখলে বা শ্বাস নেওয়ার ধরণ পরিবর্তন করলে ব্যথার তীব্রতা পরিবর্তিত হয়। প্লুরাল এফিউশন বা ফুসফুসে পানি জমার মতো সমস্যা থাকলে ব্যথা আরও তীব্র হতে পারে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। যদি শ্বাস নেওয়ার সময় ব্যথা হয় বা দীর্ঘদিন ধরে কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপরোক্ত ব্যথাগুলো হার্টের ব্যথার মতো অনুভূত হলেও এগুলোর বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে। কোনো ব্যথার প্রকৃতি বুঝতে সমস্যা হলে বা সন্দেহ হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
কীভাবে সঠিকভাবে পার্থক্য বুঝবেন?
বুকের ব্যথার প্রকৃতি বুঝতে হলে প্রথমেই ব্যথার ধরন, স্থায়িত্ব এবং অন্যান্য উপসর্গ লক্ষ্য করতে হবে। হার্টের ব্যথা সাধারণত তীব্র চাপ বা ভারী কিছু চেপে ধরার মতো অনুভূত হয় এবং এটি বুকের মাঝখানে বা বাম পাশে দেখা দেয়। ব্যথা পিঠ, গলা, কাঁধ, বা বাঁ হাতে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং এর সঙ্গে ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা বমি ভাব দেখা দেয়। বিশ্রাম নিলেও ব্যথা কমে না এবং ব্যথার তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। অন্যদিকে, সাধারণ পেশি বা হাড়ের ব্যথা হলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে ব্যথা অনুভূত হয়, যা চাপ দিলে বাড়ে এবং শরীরের নড়াচড়া করলে ব্যথার প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত প্রাণঘাতী নয় এবং বিশ্রাম নিলে বা ব্যথানাশক ওষুধ খেলে স্বাভাবিকভাবে কমে যায়। তাই ব্যথার সঙ্গে থাকা অন্যান্য উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করাই সঠিকভাবে পার্থক্য বোঝার প্রধান উপায়।
খাবারের সঙ্গে বা নড়াচড়ার সঙ্গে ব্যথার সম্পর্ক
অনেক সময় বুকের ব্যথা খাওয়ার পর বেড়ে যেতে পারে, যা সাধারণত অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার লক্ষণ। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত বা তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেলে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে এবং সঙ্গে টক ঢেকুর বা গলায় টক বা তেতো স্বাদ অনুভূত হতে পারে। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত শুয়ে থাকলে বা সামনে ঝুঁকলে বেড়ে যায় এবং অ্যান্টাসিড খেলে দ্রুত কমে যায়। অন্যদিকে, পেশি বা হাড়ের ব্যথা হলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট নড়াচড়ার সঙ্গে ব্যথা বাড়তে পারে, যেমন হাত তোলা, বসার ভঙ্গি পরিবর্তন করা বা বুকের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে চাপ দেওয়া। হার্টের ব্যথার ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় না, কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট নড়াচড়া বা খাবারের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় না। তাই যদি ব্যথা নির্দিষ্ট অবস্থায় বাড়ে বা কমে এবং সহজ কোনো চিকিৎসায় উপশম হয়, তবে এটি সাধারণত হার্টের ব্যথা নয়।
সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি
যদি ব্যথার প্রকৃতি স্পষ্ট না হয় এবং হার্টের সমস্যা বলে সন্দেহ হয়, তবে এক মুহূর্তও দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেক সময় অ্যাসিডিটি বা পেশির ব্যথার মতো সাধারণ ব্যথাকেও হার্ট অ্যাটাক মনে হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত হার্টের ব্যথাকে সাধারণ ব্যথা ভেবে অবহেলা করা হয়, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। বিশেষ করে যদি ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, বমি ভাব, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা মাথা ঘোরা অনুভূত হয়, তবে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে ইসিজি (ECG), ইকোকার্ডিওগ্রাম (Echocardiogram), বা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হার্টের অবস্থা যাচাই করা যায়। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল পর্যবেক্ষণ এবং সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করাও হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সচেতনতা বাড়ানো এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

হার্টের বুকে ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক করণীয়
বুকের ব্যথা হলে দ্রুত ও সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। প্রথমত, আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা উচিত। ব্যথার প্রকৃতি, তীব্রতা এবং অন্যান্য উপসর্গ খেয়াল করতে হবে। যদি ব্যথাটি চাপ বা ভারী অনুভূতির মতো হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন কাঁধ, পিঠ, বা হাত) ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এটি হার্টের ব্যথা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অনেক সময় সাধারণ গ্যাস বা পেশির টান থেকেও বুকের ব্যথা হতে পারে, তবে সন্দেহ হলে এটিকে অবহেলা না করে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
দ্রুত সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার গুরুত্ব
প্রাথমিক পদক্ষেপের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো দ্রুত চিকিৎসকের সহায়তা চাওয়া। যদি ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া, বমি ভাব বা মাথা ঘোরা দেখা দেয়, তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে এবং এম্বুলেন্স ডেকে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। যেসব ব্যক্তি আগে থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এ ধরনের রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকের দেওয়া কিছু জরুরি ওষুধ সঙ্গে রাখেন, যেমন নাইট্রোগ্লিসারিন বা অ্যাসপিরিন, যা সংকটময় মুহূর্তে কাজে আসতে পারে।
বিশ্রাম নেওয়া: শরীরকে স্থিতিশীল রাখা প্রয়োজন
বুকের ব্যথা হলে প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া। অতিরিক্ত নড়াচড়া বা কাজ করলে হৃদযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। তাই দ্রুত একটি স্বচ্ছন্দ জায়গায় বসে বা শুয়ে পড়তে হবে এবং শরীরকে যতটা সম্ভব স্থির রাখতে হবে। যদি ব্যথার সময় হাঁটা বা কাজ করা অবস্থায় থাকেন, তবে সঙ্গে সঙ্গে থেমে বিশ্রাম নেওয়া উচিত। ব্যথার কারণে অনেকেই ভয় পেয়ে যান, যা হৃৎস্পন্দন আরও বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই মানসিকভাবে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
বিশ্রাম নেওয়ার সময় শরীরের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। সোজা শুয়ে পড়ার চেয়ে আধশোয়া অবস্থায় বসা ভালো হতে পারে, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে। অতিরিক্ত ঘাম বা মাথা ঘোরার অনুভূতি হলে ঠান্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে ব্যথা যদি কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় এবং বিশ্রাম নিলেও না কমে, তবে এটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
গভীর শ্বাস নেওয়া: অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো
বুকের ব্যথার সময় গভীর শ্বাস নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশল, যা শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। হার্টের ব্যথা হলে অনেক সময় মানুষ ভয় পেয়ে যায় এবং দ্রুত, অগভীর শ্বাস নিতে শুরু করে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। ধীরে ধীরে এবং গভীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং শরীর কিছুটা আরাম অনুভব করে। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ কমায়।
গভীর শ্বাস নেওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নেওয়া, কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখা এবং মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়া। এভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে অনেক সময় ব্যথার তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে। বিশেষ করে যদি ব্যথা দুশ্চিন্তা বা প্যানিক অ্যাটাকের কারণে হয়ে থাকে, তবে এটি দ্রুত উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, যদি ব্যথার সঙ্গে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, শ্বাস নিতে গেলে ব্যথা বাড়ে বা ব্যথার সঙ্গে অস্বাভাবিক ক্লান্তি দেখা দেয়, তবে এটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে এবং দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার (যদি ডাক্তার প্রেসক্রাইব করে থাকেন)
যেসব রোগী আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছেন এবং ডাক্তার তাদের জন্য নাইট্রোগ্লিসারিন প্রেসক্রাইব করেছেন, তারা বুকের ব্যথার সময় এটি ব্যবহার করতে পারেন। নাইট্রোগ্লিসারিন একটি শক্তিশালী ওষুধ, যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং হার্টের দিকে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, ফলে ব্যথা দ্রুত কমতে পারে। সাধারণত এটি জিহ্বার নিচে রাখতে বলা হয়, যাতে এটি রক্তে দ্রুত মিশে যেতে পারে এবং দ্রুত কার্যকর হয়। তবে এটি কেবলমাত্র সেই ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের ডাক্তার এই ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
যদি কেউ নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করেন এবং ব্যথা কমে যায়, তবুও সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ, এটি হয়তো সাময়িকভাবে ব্যথা উপশম করতে পারে, কিন্তু সমস্যার মূল কারণ দূর করে না। তাই, এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত। অন্যদিকে, যদি নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করার পরেও ব্যথা না কমে, তবে এটি গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে এবং দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া জরুরি।
অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খাওয়া (ডাক্তারের অনুমতি সাপেক্ষে)
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির সময় অ্যাসপিরিন জীবন রক্ষাকারী ভূমিকা পালন করতে পারে, কারণ এটি রক্তকে পাতলা করে এবং জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। হার্ট অ্যাটাক সাধারণত তখনই হয় যখন হৃদযন্ত্রের রক্তনালীগুলো ব্লক হয়ে যায় এবং রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। অ্যাসপিরিন রক্তনালীর ব্লকেজ কমাতে সাহায্য করে, ফলে রক্ত সহজে প্রবাহিত হতে পারে এবং হার্টের ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। তবে এটি নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি থাকা জরুরি, কারণ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের পাকস্থলীর আলসার বা রক্তপাতজনিত সমস্যা আছে।
অ্যাসপিরিন খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি হলো এটি চিবিয়ে খাওয়া, যাতে এটি দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং দ্রুত কার্যকর হয়। সাধারণত ৩০০-৩২৫ মিগ্রা ডোজের একটি অ্যাসপিরিন হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে যদি রোগীর আগে থেকেই অ্যাসপিরিন বা অন্য কোনো রক্ত পাতলা করার ওষুধ নেওয়ার ইতিহাস থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি গ্রহণ করা উচিত নয়। অ্যাসপিরিন খাওয়ার পরেও যদি ব্যথা না কমে, তবে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
পরিশেষে,
প্রত্যেকেই মনে রাখবেন, হার্টের বুকে ব্যথা হলে এটি সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়, বরং এটি হৃদরোগের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে। তবে বুকের ব্যথা হলে সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জীবন রক্ষাও করতে পারে। বিশ্রাম নেওয়া, গভীর শ্বাস নেওয়া, নির্ধারিত ওষুধ ব্যবহার করা এবং সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বুকের ব্যথাকে অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ এটি সাধারণ গ্যাসের সমস্যা থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই, সচেতন থাকা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানা হার্টের সুস্থতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হৃদরোগ সাইলেন্ট কিলার হিসেবে পরিচিত- অনেকেই প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে পারেন না, ফলে সময়মতো ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে যায়। তবে সঠিক সচেতনতা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। যদি কখনো বুকে ব্যথা অনুভব করেন, তবে সেটিকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্যই সম্পদ- তাই নিজের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন! ধন্যবাদ।