অফিস থেকে বাড়িতে ফিরলেন মি. রহমান। দিনের ক্লান্তি সত্ত্বেও, এক কাপ চা নিয়ে তিনি সোফায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় হঠাৎ তাঁর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো। শরীরের ডান পাশ অবশ হয়ে গেল, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে উঠল- কী ঘটতে চলেছে বুঝে উঠতে পারছিল না। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো, যেখানে চিকিৎসকরা জানালেন, এটি হার্ট অ্যাটাক। মি. রহমানের জীবন এক মুহূর্তে পাল্টে গেল। অথচ, একটু সতর্কতা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা তাঁর জীবনকে সুরক্ষিত রাখতে পারত। হার্ট অ্যাটাক কেন হয়- তা কি জানেন?
একটি নীরব ঘাতক রোগ হার্ট অ্যাটাক, যা যে কোনও সময়, যে কোনও মানুষের উপর আঘাত হানতে পারে। বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে ভুল খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত জীবনযাত্রা এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের কারণে এই বিপদের সম্ভাবনা বাড়ছে। হৃদয়কে সুস্থ রাখতে এবং এই সংকটময় মুহূর্ত এড়াতে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কীভাবে এটি ঘটে এবং কিভাবে আমরা এটি প্রতিরোধ করতে পারি।
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?
হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা যা হৃদযন্ত্রে রক্ত সরবরাহের ব্যাঘাতের কারণে ঘটে। সাধারণত, করোনারি ধমনীর কোন একটি ব্লক হয়ে গেলে হৃদয়ের নির্দিষ্ট অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে ওই অংশটি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সাথে সাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। নানা শারীরিক ও মানসিক কারণ হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নিচে হার্ট অ্যাটাকের কিছু প্রধান কারণ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো:
অপরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ। আজকাল অনেকেই ব্যস্ত জীবনে দ্রুত ও সহজে প্রস্তুত করা যায় এমন খাবারের দিকে ঝুঁকছে, যা অধিকাংশ সময় স্বাস্থ্যকর হয় না। তেলে ভাজা খাবার, উচ্চ চর্বিযুক্ত মাংস, ফাস্টফুড এবং প্রসেসড খাবার হৃদয়ের জন্য ক্ষতিকারক। এসব খাবার ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ থাকে, যা রক্তনালীর গাত্রে জমা হয়ে ব্লকেজ তৈরি করে। এর ফলে করোনারি ধমনীর মধ্যে ফ্যাট জমতে শুরু করে এবং রক্ত চলাচলের পথ সংকুচিত হয়ে যায়। যখন এই ব্লকেজ বেশি পরিমাণে জমে যায়, তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের আরেকটি কারণ হলো উচ্চমাত্রার লবণ এবং চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যা হৃদযন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া, অধিক চিনিযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, যা পরোক্ষভাবে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। এর বিপরীতে, তাজা ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখতে পারে। পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদয়ের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আধুনিক জীবনের চাপ এবং তাড়াহুড়ো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যখন আমরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, আমাদের শরীর কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিন নামে স্ট্রেস হরমোন নির্গত করে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই হরমোনগুলি রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্রের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মানসিক চাপের কারণে অনেকেই খাদ্যাভ্যাসের প্রতি অসচেতন হয়ে ওঠে এবং ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ সহায়ক হতে পারে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হৃদযন্ত্রের জন্য এক নীরব ঘাতক। এটি দীর্ঘমেয়াদে হৃদযন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যখন রক্তচাপ নিয়মিত উচ্চ থাকে, তখন এটি ধমনীর দেয়ালের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপে ধমনী ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্ষতের এলাকায় ফ্যাট জমা হতে থাকে। এই ফ্যাটের জমা থেকে প্লাক তৈরি হয় যা ধমনীতে ব্লকেজের সৃষ্টি করে।
এছাড়া, উচ্চ রক্তচাপ হৃদযন্ত্রের পেশির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা দীর্ঘমেয়াদে হার্টকে দুর্বল করে তোলে। ফলে, একটি সময় আসে যখন হৃদযন্ত্র রক্ত সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ হার্ট অ্যাটাকের জন্য একটি মারাত্মক কারণ। তামাকের ধোঁয়ায় নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে। নিকোটিন ধমনী সংকুচিত করে এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি করে, যা হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। কার্বন মনোক্সাইড রক্তের অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়, ফলে হৃদযন্ত্রের উপর বাড়তি চাপ পড়ে।
তামাক ব্যবহার ধমনীর গাত্রে প্লাক জমাতে সহায়ক, যা রক্ত চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ধূমপায়ীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে ধূমপান ছেড়ে দেয়া এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।
উচ্চ কোলেস্টেরল
রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় হার্ট অ্যাটাকের কারণ। কোলেস্টেরলের দুটি ধরণ রয়েছে—ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এবং খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)। উচ্চ মাত্রার LDL কোলেস্টেরল ধমনীর গাত্রে জমে ফ্যাটের প্লাক তৈরি করে। এই প্লাক ধীরে ধীরে আর্টারির দেয়াল সংকুচিত করে এবং রক্ত চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে। যখন এই প্লাক ছিঁড়ে যায়, তখন রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়।
উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা জরুরি। সম্পূর্ণ শস্য, শাকসবজি, ফলমূল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্পর্ক
এটিও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তে উচ্চ শর্করা লেভেল দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে এটি হৃদযন্ত্রের পেশি এবং ধমনীর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, তখন এটি ধমনীর দেয়ালকে দুর্বল এবং ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, ফলে ধমনীর অভ্যন্তরে ফ্যাট জমা শুরু হয়। এই ফ্যাট জমা প্লাক তৈরি করতে পারে, যা ধমনী সংকুচিত করে এবং রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এই পরিস্থিতি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায়শই উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল লেভেল দেখা যায়, যা একসাথে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি করার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ, রক্তে শর্করার নিয়মিত পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন গুরুত্বপূর্ণ। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম রক্তে শর্করার লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার প্রভাব
অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতা শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট জমাতে সহায়ক, বিশেষ করে পেট এবং বুকের এলাকায়। এই অতিরিক্ত ফ্যাট হৃদযন্ত্রকে বেশি পরিমাণে রক্ত সরবরাহ করতে বাধ্য করে, যা হৃদযন্ত্রের পাম্পিং ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। এর ফলে হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং আর্টারিতে ফ্যাট জমার কারণে ব্লকেজ তৈরি হতে পারে।
স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বাড়ায়, যা একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্থূলতা কমানোর জন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এবং নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। খাদ্যে সঠিক পুষ্টির যোগান দিতে এবং ওজন কমাতে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভাল। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার রাখলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাদের শরীরে ফ্যাট জমার প্রবণতা বেশি থাকে, যা আর্টারিতে ব্লকেজ তৈরি করতে পারে। ব্যায়ামের অভাবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বৃদ্ধি পায় এবং ভাল কোলেস্টেরল (HDL) হ্রাস পায়, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ – যেগুলো না জানলেই নয়!
নিয়মিত ব্যায়াম হৃদযন্ত্রের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি হতে পারে হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, বা যেকোনো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ যা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখে। এছাড়াও, যোগব্যায়াম এবং স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ শরীরের নমনীয়তা বাড়াতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
অ্যালকোহলের অতিরিক্ত ব্যবহার
অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এটি রক্তচাপ বৃদ্ধি করে এবং হৃদযন্ত্রের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল লিভার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে, যা পরোক্ষভাবে হৃদযন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরের ফ্যাট জমার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রিতভাবে গ্রহণ করা, বা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উত্তম। যারা উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, বা হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা বিশেষভাবে জরুরি।
বংশগত বা জেনেটিক কারণ
হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো বংশগত বা জেনেটিক প্রবণতা। যদি কোনো পরিবারের সদস্যের হৃদরোগ থাকে, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও হৃদরোগের ঝুঁকি থাকতে পারে। বংশগত কারণে হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিকতা, উচ্চ কোলেস্টেরল, বা উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা থাকতে পারে।
বংশগত ঝুঁকিতে যারা আছেন তাদের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অপরিহার্য। এটি হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি চিহ্নিত করতে সহায়ক। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ বংশগত ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
শেষ কথা,
হার্ট অ্যাটাক কেন হয়- তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। কেননা এটি এক মুহূর্তের মধ্যে জীবনের গতিপথ বদলে দিতে পারে, কিন্তু আমরা যদি সচেতন হই, তবে অনেকাংশেই এই বিপদ এড়ানো সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপান পরিহার এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হৃদয়কে রক্ষা করতে পারে। হৃদয় আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি ঠিক মতো যত্ন না নিলে, বিপদ কখন এসে উপস্থিত হবে তা আমরা জানি না। জীবন একটাই এবং প্রতিটি হৃদস্পন্দন তার অমূল্য স্মৃতিচিহ্ন। তাই, আজ থেকেই শুরু করুন হৃদয়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া- কারণ হৃদয় শুধু রক্ত প্রবাহের কেন্দ্র নয়, বরং এটি আমাদের জীবনের অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু। হৃদয়ের সুরক্ষাই আমাদের জীবনের নিরাপত্তা। এখনই সচেতন হন, কারণ এক মুহূর্তের অসাবধানতা আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কেড়ে নিতে পারে।